বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভর্তি পরীক্ষা

বাংলাদেশের সর্বমোট 43 টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তারপর ভর্তি হইতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সারা দেশে বিভিন্ন জেলায় রয়েছে। এত এত জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া একজন ছাত্রের জন্য বেশ কষ্টকর। এজন্য 2020 সাল থেকে 22 টি বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই পদ্ধতিতে সারাদেশে প্রায় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে একজন শিক্ষার্থী তার কাছাকাছি কেন্দ্রে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। এবং এই একটিমাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এতে করে শিক্ষার্থীর সময় কষ্ট ও যাতায়াতের ভাড়া খাওয়ার টাকা  খরচ কম হবে।    

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাথমিক আবেদন গ্রহণ করে এ সময়ে শুধুমাত্র এক কপি ছবি এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল নম্বর দিয়ে আবেদন করা যায় কোন প্রকার অর্থ প্রদান করা দরকার হয় না। প্রাথমিক আবেদন গ্রহণ করার পর তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করা হয় তারপর চূড়ান্ত আবেদনের জন্য বলা হয়। চূড়ান্ত আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় এইচএসসি এর মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল:-শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় শেইখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

আবেদন যোগ্যতা

এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারে এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখা হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কে এসএসসি সমমান পরীক্ষায় এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ ন্যূনতম জিপিএ 3.5 সহ মোট জিপিএ আট থাকতে হয়

মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩ সহ 6 থাকতে হয়। এবং বাণিজ্য শাখার উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ 360 জিপিএ 3.5 থাকতে হয় ইংরেজি মিডিয়াম থেকে পরীক্ষা দেওয়া যায় তবে সে ক্ষেত্রে ফলাফল এর এর মান নির্ধারণ করার জন্য রেজিস্টার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা এর কার্যালয় যোগাযোগ করতে হয়। এবছর এই সমান যোগ্যতা নির্ধারণ করার জন্য আবেদনের শেষ তারিখ এর কমপক্ষে দুই দিন পূর্বে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। 

ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি

ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্যাটার্নে অনুষ্ঠিত হয় 100 নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য 0.25 নম্বর কাটা যাবে। বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের কে 16 মোট 100 নম্বরের উত্তর দিতে হবে তারমধ্যে পদার্থ ও রসায়ন এ 25 নম্বর করে মোট 50 নম্বরের উত্তর দিতে হবে গণিত ও জীববিজ্ঞান এরমধ্যে যেটি চতুর্থ বিষয় ছিল না সেটির উত্তর করতে হবে 25 নম্বর এবং বাংলা অথবা ইংরেজি এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে থেকে যেকোনো একটি থেকে 25 নম্বরের উত্তর করতে হবে চতুর্থ বিষয় এর পরিবর্তে। 

মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের কে 100 নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে 35 নম্বর করে মোট সত্তর নম্বর এর উত্তর দিতে হবে এবং সাধারন জ্ঞান এর উত্তর দিতে হবে। 

বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের কে 100 নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে হিসাববিজ্ঞান থেকে 35 নম্বর ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে 35 নম্বর বাংলা থেকে 15 নম্বর ইংরেজি থেকে পনের নম্বরের উত্তর করতে হবে। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে

মেধাস্কোর নির্ধারণ

ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পৃথক পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীর মেধাক্রমঃ নির্ধারণ করবে। 

post written by:

Related Posts