বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট ) হচ্ছে বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ।বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ইচ্ছুক সকল student এর প্রথম পছন্দ থাকে বুয়েট এ পড়ার। এজন্য এর ভর্তি পরীক্ষা দেবার জন্যও অনেক কষ্ট করতে হয়। একেক বছর একেক রকম ধরনে requirement বুয়েট চেয়ে থাকে। সেটা অবশ্যই সে বছরের SSC + HSC ফলাফলের উপর ভিত্তি করে। যেমনঃ 2020 সালে চেয়েছিল যে SSC পরীক্ষায় physics, chemistry, Math এ মোট ২৭০ নাম্বার থাকতে হবে।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এর ভর্তি যোগ্যতা কতটুকু টাফ। তাই তোমার যদি ইচ্ছা
থাকে যে তুমি বুয়েটে পড়বা তবে তোমাকে অবশ্যই ভাল করে পড়াশোনা করতে হবে।
একেবারে ssc লেভেল থেকেই বুঝেবুঝে প্রতিটা বিষয় পড়তে হবে।
এখানে এটি ঢাকা শহরের শহরের লালবাগ থানার পলাশী এলাকায় অবস্থিত । বুয়েট , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল এর ক্যাম্পাস গুলো পাশাপাশি অবস্থিত। এখানে বর্তমানে প্রতিবছর মোট ১২টি বিভাগের অধীনে ১২৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এবং কোটায় ৪টি। মূল ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৪০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিঃ
আবেদন যোগ্যতাঃ
(ক) প্রার্থীকে বাংলাদেশের যে কোন মাধ ̈মিক ও উচ্চ মাধ ̈মিক শিক্ষা
বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে
বিজ্ঞান বিভাগে (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ) ৫.০০ এর স্কেলে নূ ̈নতম জিপিএ
৪.০০ পেয়ে মাধ ̈মিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে
হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল ̈ গ্রেড
পেয়ে
পাশ করতে হবে।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক/ আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে জিপিএ ৫.০০, গণিত বিষয়ে ২০০ নম্বরের মধে ̈ নূ ̈নতম ১৭০ নম্বর এবং পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয় সমূহে ৪০০ নম্বরের মধে ̈ নূ ̈নতম মোট ৩৭২ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ ̈মিক/ আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্যগ্রেড/ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।
যে সব প্রার্থী ২০১৮ সালে মাধ ̈মিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২০
সালে উচ্চ মাধ ̈মিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণহয়েছেন কিন্তু উচ্চ মাধ
̈মিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় তাদের সংশোধিত ফলাফল ৩ মে ২০২১ তারিখের পরে
শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত হয়েছে, সেক্ষেত্রে তাদেরকে মাধ ̈মিক ও উচ্চ মাধ
̈মিক শিক্ষা বোর্ড/ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ
মাধ ̈মিক/ আলীম/ সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিনটি
বিষয়ে গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে জিপিএ ৫.০০ এবং মাধ ̈মিক/ দাখিল/ সমমানের
পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ে ৩০০ নম্বরের মধে ̈ নূ
̈নতম ২৭০ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক/ দাখিল/ সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা
বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল ̈ গ্রেড/ নম্বর পেয়ে
পাশ করতে হবে।
সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্যহতে উপরে উল্লেখিত নির্ধারিত নম্বরের ভিত্তিতে
বাছাই করে ১ম থেকে ২০,০০০ তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন ̈ যথাμমে আবেদনকারীর উচ্চ
মাধ ̈মিক/ সমমান পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয় দুইটিতে প্রাপ্ত মোট
নম্বর এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসাবে
বিবেচনা
করা হবে।
(খ) GCE “A” লেভেল এবং এঈঊ “O” লেভেল পাশ করা প্রার্থীদের
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন ̈ এঈঊ “O” লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে
পাঁচটি বিষয় (গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিসহ) এর প্রতিটিতে নূ ̈নতম
ই গ্রেড এবং GCE “A” লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিন
বিষয়ের যে কোন দুইটিতে নূ্ন্যতম A গ্রেড এবং একটিতে ন্যনতম B গ্রেড পেয়ে পাশ
করতে হবে।
নূ্ন্যতম যোগ ̈তা পূরণ সাপেক্ষে GCE “O” লেভেল এবং GCE “A” লেভেল
পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্ত সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে উপরে উল্লেখিত
নির্ধারিত গ্রেডের ভিত্তিতে বাছাই করে ১ম থেকে ৪০০তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন্য
আবেদনকারীর GCE 'A' লেভেল পরীক্ষায় গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত
গ্রেডকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
(গ)নূন্যতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত সকল সঠিক
আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
(ঘ) উপরোক্ত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায়
অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের দুইটি শিফটে বিভক্ত করে প্রাক-নির্বাচনী
পরীক্ষা নেয়া হবে। পরিসংখ্যান ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি শিফটে
প্রার্থীদের মেধার বিন্যাসের সমতুল্য তা নিশ্চিত করা হবে। প্রাক-নির্বাচনী
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ ̈ালয়ের
ওয়েবসাইটে (www.buet.ac.bd) তে প্রকাশ করা হবে।
(ঙ) প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের
১ম থেকে ৩০০০তম শিক্ষার্থীকে মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত
করা হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত নূ ̈ন্যতম ১২ জন পরীক্ষার্থী (পর্যাপ্ত আবেদন
গ্রহণ সাপেক্ষে) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। মূল ভর্তি
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ওয়েবসাইটে(www.buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।
আসন সংখ্যাঃ-
এখানে বর্তমানে প্রতিবছর মোট ১২টি বিভাগের অধীনে ১২৭৫ জন শিক্ষার্থী
ভর্তি করা হয়। এবং কোটায় ৪টি।
আরো বিস্তারিত জানতে
এইখানে ক্লিক করে
পিডিএফ ফাইল টি পরুন।